আর্ক হাসান এবং বর্তমান প্রজন্ম

আমি বর্তমান প্রজন্মের একজন তরুন। ছোট বেলায় দেখতাম আব্বা ক্যাসেটে গুরু জেমস, আইয়ুব বাচ্চু এবং হাসান ভাইয়ের গান শুনতেন। তাই ছোট থেকেই আমার গান শোনার অভ্যাস। বড় হতে হতে হারিয়ে ফেলি হাসান ভাইকে। একদম পর্দার আড়ালে চলে যায়। একটি ছোট শহরে আমার জন্ম হা আমি খুলনা শহরের কথাই বলছি। এখানে খুব কমই কন্সার্ট হয়। তবে গুরু জেমস আসে মাঝে মাঝে। এইতো আগের বছর খুলনা ইউনিভার্সিটি তে বাচ্চু স্যার এসে গেলো  এইবার সেই স্টেজে হাসান ভাই উঠলো। হাসান ভাই আসবে খবরটা শুনেই মন মেতে উঠলো। কখনো ভাবিনি তাকে স্টেজে দেখতে পারবো। কন্সার্ট এর এন্ট্রি টি -শার্ট উপহার দিলো আমার সুইটি। আমার সুইটি কন্সার্ট কমিটির প্রভাবশালী লিডার হওয়ার কারনে একদম স্টেজের সামনেই জায়গা পেলাম। সন্ধ্যা ৭ টা কালো করে একটা ছেলে মাইক্রোফোনে বুকফাটা উল্লাস নিয়ে বললো এখন স্টেজ মাতাবে আর্ক। বুকের ভিতরটা কেমন করে উঠলো। ব্যাক স্টেজ থেকে সামনে আসলো কালো শার্ট কালো প্যান্ট আর কালো কনভার্স আর চোখে কালো সানগ্লাস পড়া ঝাকরা চুলের এক রকস্টার। এসেই সবার মন কেড়ে নিলো। শুরু করে দিলো তার হ্রদয় কাপানো গান। গানের সাথে হালকা নাচ। দর্শকরা বিস্ময় চোখে তাকিয়ে রইলো। হাজার তরুন তরুণী মেতে উঠলো তার সাথে। ১০৫ একর তার প্রতিটা লিরিকের সাথে সাথে কেপে কেপে উঠছিলো। এইখানের কেউ তার আগে কখনো কন্সার্ট দেখেনি তবু তার সাথে এমন ভাবে গলা মিলালো যেন তার হাজার বছর ধরে তার কন্সার্ট দেখে আসছে। হাসান ভাই তার গান গুলা মুখস্থ করিয়ে তারপর গায়িয়ে দিচ্ছিল। এটা সবাই পারেনা। তার চুল দোলনো।  তার মাইক্রোফোনের তার দিয়ে গিটার বাজানোর ভজ্ঞি হাজার তরুনির মন ছুয়ে গিয়েছে। আর গানের মাঝখানে বলা তার কথা গুলা ছিলো ইংলিশে। মনে হচ্ছিলো মাইকেল জ্যকসনের প্রোগামে আছি। তার বয়স তার উপর কোন প্রভাব ফেলতে পারনি । এ যেন ২৩ বছরের যুবকের ১০৫ একর দাপিয়ে বেড়ানো। real rock taste  আপনি হাসান ভাইয়ের কন্সার্ট না দেখলে পাবেন না। চেষ্টার এর চেয়ে আমাদের হাসান ভাই কম যায়না। আমি অবাক হয়ে গেছিলাম। যা আশা করছি তার চেয়ে অনেক বেশি দিয়েছেন। হাসান ভাইকে ছুয়ে দেখার ইচ্ছা বেড়ে গেল। শ্রদ্ধেয় রাসেল আনাম ভাই জিমি ভাইয়ের মাধ্যমে পরের দিন সকালে আমাদের হাসান ভাইয়ের সাথে দেখা করার সুযোগ করে দিলেন। আর এইজন্য আল হাবিব ভাইয়ের সবটুকু চেষ্টা।  খুলনায় আগমন উপলক্ষে আমরা গেলাম হাসান ভাইকে ফুলের শুভেচ্ছা জানাতে। আমাদের দেখেই হাসান ভাই খাওয়ার টেবিল থেকে উঠে দাড়ালো সালাম দিলাম।
হাসান ভাই: প্রোগামে গিয়েছিলে তোমরা
আমরা :জি স্যার
হাসান ভাই : কেমন
আমি : স্যার আমার মনে হচ্ছিলো আমি মাইকেল জ্যাকসনের কন্সার্টে আছি। যা আশা করছিলাম তার চেয়ে অনেক বেশি দিয়েছেন।
হাসান ভাই : তাকিয়ে রইলেন আমাদের দিকে
আমি : স্যার এখন থেকে কি আমরা আপনাকে নিয়মিত পাচ্ছি, আপনি কি নিয়মিত কন্সার্ট করবেন
হাসান ভাই : মাথা নাড়িয়ে হাল্কা একটি হাসি দিয়ে বললেন হ্যা
আমি : স্যার অনেক বেশি ভালোবাসি আপনাকে (নিজেকে ধরে রাখতে পারলাম না। লুটিয়ে পড়লাম হাসান ভাইয়ের দিকে, আর উনি পরম মমতায় বুকে জড়িয়ে নিলেন। এটাকেই বুঝি বলে ভালোবাসা......
লেখক: রায়হান

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

হাসান আর্কের একক এন্ড মিক্সড এ্যালবাম সমূহ……

বিশ্ব সঙ্গীত দিবসের শুভেচ্ছা বার্তা, (হাসান আর্ক)

কারবালা - হাসান (স্বাধীনতা ব্যান্ড) ২০০২